শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ: একটি বিস্তারিত লেখা
সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শান্তিগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ২০০৬ সালের ২৭ জুলাই সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন নিয়ে "দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা" হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০৮ সালের ১৮ মে থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে, ২০২১ সালের ২৬ জুলাই এটির নাম পরিবর্তন করে "শান্তিগঞ্জ উপজেলা" রাখা হয়।
ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন: শান্তিগঞ্জ উপজেলা উত্তরে সুনামগঞ্জ সদর, দক্ষিণে জগন্নাথপুর, পূর্বে ছাতক ও জগন্নাথপুর, এবং পশ্চিমে দিরাই ও জামালগঞ্জ উপজেলার সাথে সীমানা ভাগ করে। উপজেলার মোট আয়তন ৩০৩.১৭ বর্গকিলোমিটার। সুরমা ও কালনী নদীসহ বেশ কিছু বিল ও হাওর এ উপজেলায় অবস্থিত।
জনসংখ্যা ও জনবসতি: ২০০১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শান্তিগঞ্জের জনসংখ্যা ছিল ১,৮৩,৮৮১ জন। ২০২১ সালের তথ্য বর্তমানে আমাদের কাছে নেই, তবে পরবর্তীতে আপডেট করা হবে। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ৬৪৩ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার।
অর্থনীতি: উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি ও মৎস্যের উপর নির্ভরশীল। ধান, পাট, এবং বিভিন্ন ধরণের মাছ এখানে উৎপাদিত হয়। উল্লেখ্য, অনেক মানুষ বিদেশে কর্মরত থাকার ফলে রেমিট্যান্সও এখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষা: শিক্ষার হার ৩১.১৬%। উপজেলায় একটি কলেজ, ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৯৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় প্রমুখ উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসন: শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শান্তিগঞ্জ থানার আওতাধীন। উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।
ঐতিহাসিক ঘটনা: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে শান্তিগঞ্জের ঐতিহাসিক ঘটনার তথ্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত নেই। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আরও তথ্য সংগ্রহ করে আপডেট করব।