লিকেজ

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২২ পিএম

বাংলাদেশে গ্যাস লিকেজ একটি ব্যাপক সমস্যা, বিশেষ করে ঢাকা শহরের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলপিজি (সিলিন্ডার গ্যাস) উভয়ই লিকেজের ঝুঁকি বহন করে। লিকেজের কারণ হিসেবে পুরোনো ও ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন, অবৈধ সংযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, এবং চাপের তারতম্যকে চিহ্নিত করা যায়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় ঘটা বিভিন্ন গ্যাস লিকেজের ঘটনা, যার ফলে বেশ কিছু এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল, তা এই সমস্যার গুরুত্ব আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ এর ব্যাখ্যায়, ঈদের ছুটির সময় শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সঞ্চালন লাইনে চাপ বেড়ে যাওয়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পাইপলাইনের ফলে লিকেজ ঘটে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের মতে, মেয়াদোত্তীর্ণ পাইপলাইন, অবৈধ সংযোগ, এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাব লিকেজের প্রধান কারণ। তিনি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, পুরোনো পাইপলাইন প্রতিস্থাপন, এবং গ্যাস সরবরাহের সাথে জড়িত সবার জবাবদিহিতার উপর জোর দিয়েছেন। গ্যাস লিকেজের লক্ষণ হল পচা ডিমের মতো গন্ধ, হিসহিস শব্দ, এবং ঘরের গাছ মরে যাওয়া। লিকেজ শনাক্ত হলে, দ্রুত স্থান ত্যাগ করা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করা, দরজা-জানালা খুলে দেওয়া, গ্যাসের প্রধান সরবরাহ বন্ধ করা, এবং ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করা অত্যন্ত জরুরী। জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার দায়িত্বশীল আচরণ এই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ঢাকা শহরে গ্যাস লিকেজের ঘটনা বহুল প্রচলিত।
  • পুরোনো ও ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন লিকেজের প্রধান কারণ।
  • অবৈধ সংযোগ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাব লিকেজ বাড়ায়।
  • লিকেজ শনাক্ত হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
  • জনসচেতনতা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।