রোহিঙ্গা ভোটার: নির্বাচন কমিশনের নজরদারি ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) রোহিঙ্গা ভোটারদের নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটি জেলাকে ‘বিশেষ জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা রোহিঙ্গা ভোটারদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ঠেকাতে। এই পাঁচ জেলায় ভোটার হওয়ার জন্য বাসিন্দাদের অতিরিক্ত কঠোর নিয়মকানুন মেনে চলতে হচ্ছে। তবে ইসি তিনটি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ভোটার তালিকা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার সনদধারীরা ‘এ’ ক্যাটাগরিতে, অন্যরা ‘বি’ এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
- *রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভুক্তির অতীত ঘটনা:**
২০১৯ সালে চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোটার হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। রমজান বিবি ওরফে লাকী নামে এক রোহিঙ্গা নারী জাতীয়তা সনদ পেয়েছিলেন। এছাড়াও, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে ৫৫ হাজার ৩১০ রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার তথ্য উঠে আসে। নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এসব ঘটনায় অন্তত ১৮টি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১২ ও ২০১৫ সালে চন্দনাইশ ও মিরসরাইয়ে নির্বাচন কার্যালয়ের ল্যাপটপ চুরি হওয়ার ঘটনাও রয়েছে।
- *ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:**
ভোটার হতে ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি, নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি, এসএসসি/সমমান অথবা অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং ইউটিলিটি বিলের কপি প্রয়োজন।
- *ইসির সর্বশেষ ঘোষণা:**
আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ১৮-৩০ জানুয়ারি সংশোধন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।