রায়হান মিয়া নামটি একাধিক ব্যক্তি বা ঘটনার সাথে সম্পর্কিত হওয়ায় বিভ্রান্তি দূরীকরণের জন্য প্রতিটি রায়হান মিয়ার তথ্য পৃথকভাবে তুলে ধরা হলো।
ঘটনা ১: সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত রায়হান মিয়া
২২ বছর বয়সী রায়হান মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল থানার দক্ষিণ খালপাড়া গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে। ঢাকার কাফরুল থানা এলাকায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার পশ্চিম সাউদপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর, ১১ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনা ২: আত্মহত্যা করে রায়হান মিয়া
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের মৃত ছামছুল হকের ছেলে ৪০ বছর বয়সী রায়হান মিয়া পারিবারিক কলহের জেরে ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে আত্মহত্যা করেন। তিনি অটোভ্যান চালক ছিলেন।
ঘটনা ৩: সাংবাদিকের উপর হামলায় জড়িত রায়হান মিয়া
রংপুরের পীরগাছায় সাংবাদিক একরামুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় রায়হান মিয়ার নাম জড়িত। তিনি পীরগাছা সদর ইউনিয়নের জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে যে, তিনি সাংবাদিকের উপর হামলা করে আহত করেন।
ঘটনা ৪: ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত রায়হান মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নোয়াখালী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন ৩৫ বছর বয়সী রায়হান মিয়া। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর গ্রামের বাসিন্দা রায়হান খননযন্ত্র চালক ছিলেন। বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুনিয়াউট লেবেল ক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনা ৫: কোটা আন্দোলনে আহত রায়হান মিয়া
গাজীপুরের সফিপুর আনসার অ্যাকাডেমির সামনে কোটা আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত হন ২২ বছর বয়সী রায়হান মিয়া। তিনি গাজীপুর সদরের ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর (ছাপিপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা রায়হান গাজীপুরের এক পোশাক কারখানায়ও চাকরি করতেন। ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে তিনি গুলিতে আহত হন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঘটনা ৬: নিখোঁজ রায়হান মিয়া
১৮ বছর বয়সী রায়হান মিয়া, পিতা মোস্তা মিয়া, গ্রাম তাজপুর, থানা গোবিন্দগঞ্জ, জেলা গাইবান্ধা। ৪/১১/২৪ তারিখে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে নিখোঁজ হয়।
রায়হান মিয়া (বিভ্রান্তি নিরসন)
• ঢাকায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার
• গাইবান্ধায় অটোভ্যান চালকের আত্মহত্যা
• রংপুরে সাংবাদিকের উপর হামলায় জড়িত
• ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি
• কোটা আন্দোলনে গুলিতে আহত
• গাইবান্ধা থেকে নিখোঁজ
এই প্রবন্ধে বিভিন্ন ঘটনার সাথে জড়িত একাধিক রায়হান মিয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দেওয়া, আত্মহত্যা, সাংবাদিকের উপর হামলা, ট্রেন দুর্ঘটনা, কোটা আন্দোলনে আহত, এবং নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জড়িত রায়হান মিয়াদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল
জালাল মিয়া, ক্যাপ্টেন ইমামুন নূর, মো. মিজানুর রহমান, ছামছুল হক, শাহীন মিয়া, তাজ উদ্দিন খন্দকার, একরামুল ইসলাম, মজিবর রহমান, আল আমিন বুলেট, নুরে আলম সিদ্দিকী, ইয়াসমিন আক্তার, সুমন মিয়া, জসিম উদ্দিন, নাঈমা সুলতানা, রমজান আলী, রাশিদা বেগম, জাহিদুল ইসলাম, মোস্তা মিয়া
ঢাকা, কাফরুল, নেত্রকোণা, কেন্দুয়া, পশ্চিম সাউদপাড়া, কিশোরগঞ্জ, তারাইল, দক্ষিণ খালপাড়া, মদন, গাইবান্ধা, সাদুল্লাপুর, বনগ্রাম, জয়েনপুর, রংপুর, পীরগাছা, অনন্তরাম মাছুয়াপাড়া, বড়পানসিয়া সর্দার পাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পুনিয়াউট, বাজিতপুর, দিলালপুর, ভৈরব, গাজীপুর, সফিপুর, গোবিন্দগঞ্জ, হরিরামপুর (ছাপিপাড়া), কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, গোড়াই
রায়হান মিয়া, গ্রেপ্তার, আত্মহত্যা, হামলা, ট্রেন দুর্ঘটনা, কোটা আন্দোলন, নিখোঁজ, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক, অগ্নিসংযোগ, অটোভ্যান চালক, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল