বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূহ: একটি বিস্তারিত বিবরণ
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। এই ব্যাংকগুলি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের অর্থায়ন, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন এবং জনগণের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক একই নয়; প্রতিটিরই নিজস্ব ইতিহাস, কার্যাবলী এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা রয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক:
বাংলাদেশে মোট ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এগুলো হল:
- সোনালী ব্যাংক লিমিটেড: বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত।
- জনতা ব্যাংক লিমিটেড: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত।
- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড: ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত।
- রূপালী ব্যাংক লিমিটেড: ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত।
- বেসিক ব্যাংক লিমিটেড: ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত।
- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল): ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত।
এই ব্যাংকগুলো আমানত গ্রহণ, ঋণ প্রদান, বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন, বিনিয়োগ, ট্রেড ফাইন্যান্সিং সহ বিভিন্ন ধরণের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে কর্পোরেট ব্যাংকিং, এসএমই অর্থায়ন, ক্ষুদ্রঋণ প্রদান, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সরকারি তহবিল ব্যবস্থাপনা।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংক:
এছাড়াও, বাংলাদেশে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে। এগুলো নির্দিষ্ট খাতের উন্নয়নে কাজ করে:
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক: কৃষিখাতের উন্নয়নের জন্য ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত।
- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কৃষিক্ষেত্রে অর্থায়ন।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক: প্রবাসী বাংলাদেশীদের আর্থিক সহায়তা এবং উন্নয়নে কাজ করে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির কর্মকান্ড, মূলধন, আয়-ব্যয়, ঋণ বিতরণ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সম্পৃক্ত ব্যাংকগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদনে পাওয়া যায়। আপনি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ও প্রকাশনা থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
আরও তথ্যের জন্য:
আমরা এই লেখাটি নিয়মিত আপডেট করবো। যদি আপনার আরও কোন প্রশ্ন থাকে, অথবা আপনি এই লেখায় কোন ত্রুটি লক্ষ করেন, অনুগ্রহ করে আমাদেরকে জানাতে দ্বিধা করবেন না।