১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে যৌথবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত এই যৌথবাহিনী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হানে। ২১ নভেম্বর, ১৯৭১ তারিখে যৌথবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়, লে. জে. জগজিৎ সিং অরোরার নেতৃত্বে। এই বাহিনী ৪ টি অঞ্চল থেকে তাদের অভিযান শুরু করেছিল: পূর্বে ত্রিপুরা থেকে সিলেট, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী অভিমুখে; উত্তরে রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া অভিমুখে; পশ্চিমে যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর অভিমুখে এবং মেঘালয়ের তুড়া থেকে জামালপুর, ময়মনসিংহ অভিমুখে। মাত্র কয়েকদিনের যুদ্ধের পর, ৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে, যৌথবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে। এই যৌথ অভিযানে ভারতের সহায়তা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ সরবরাহ করেছিল এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় ও সাহায্য প্রদান করেছিল। অপারেশন জ্যাকপট, যা আমাদের নৌ কমান্ডোদের সবচেয়ে সফল অভিযান ছিল, ভারতের প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছিল। যৌথবাহিনীর অসাধারণ সাহসিকতা এবং ত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। যুদ্ধের এই সময়কালে অনেক সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনা সদস্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের দেশ ও মানবতার জন্য।
যৌথবাহিনী
মূল তথ্যাবলী:
- ২১ নভেম্বর, ১৯৭১: যৌথবাহিনীর গঠন
- লে. জে. জগজিৎ সিং অরোরা: যৌথবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার
- ৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর: যৌথবাহিনীর যুদ্ধ অভিযান
- ৪ টি অঞ্চল থেকে অভিযানের সূচনা
- ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা: অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও শরণার্থী সহায়তা
- অপারেশন জ্যাকপট: নৌ কমান্ডোদের সফল অভিযান
গণমাধ্যমে - যৌথবাহিনী
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
যৌথবাহিনী মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে।