মোস্তফা জামান সমুদ্র

মোস্তফা জামান সমুদ্র: এক অসমাপ্ত স্বপ্ন

১৯ জুলাই, একটি তারিখ যা মোস্তফা জামান সমুদ্রর পরিবারের জন্য অশ্রু ও বেদনার স্মৃতি হয়ে আজও বেঁচে আছে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি শহীদ হন। ঢাকার রামপুরায় মহানগর প্রজেক্টে পরিবারের সাথে বসবাসকারী মো: মনিরুজ্জামান তাজুল ও মাসুদা জামানের (৫৯) আদরের ছেলে সমুদ্র ঢাকার আল-ফোরকান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সমুদ্রর বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের স্বপ্ন ছিল বড়। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্যেই তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

১৯ জুলাই, রামপুরার ডিআইটি রোডে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ডেলটা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের পর বেটার লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের শোকের সীমা থাকে না। মা মাসুদা জামানের ভাতের প্রত্যাশা ও শেষ হয় না। তিনি এখনও আশা রাখেন আদরের ছেলে ফিরে আসবে, ভাত খেতে বসবে। পিতা মনিরুজ্জামান তাজুল জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন নগদ ১০,০০০ টাকা সাহায্য করেছে তবে অন্য কোন সাহায্য পাননি। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান যেন সকল শহীদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা হয়। সমুদ্রর বড় ভাই মোর্শেদুজ্জামান জাপানে এবং বোন মিরানা জামান ফিনল্যান্ডে বসবাস করেন। সমুদ্রর মৃত্যুর পর পরিবার ঢাকা ছেড়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। সমুদ্রর অসমাপ্ত স্বপ্ন এবং তার আত্মত্যাগ আজও একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মোস্তফা জামান সমুদ্র ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হন।
  • তিনি ঢাকার আল-ফোরকান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছিলেন।
  • সমুদ্রের বাবা-মা মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা।
  • তার পরিবার সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দাবি করে।