মাসুদা জামান

মাসুদা জামানের ছেলে মো: মোস্তফা জামান সমুদ্র (১৭) গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হন। ৫৯ বছর বয়সী মাসুদা জামান এখনও ছেলের জন্য ভাত রেখে অপেক্ষা করেন। তিনি অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, 'আমার বাবা আর ভাত খেতে আসে না। আমি অপেক্ষায় থাকি। আমার অপেক্ষা শেষ হয় না।' তিনি আরও বলেন, 'আমার ছেলে দেশের জন্যে রক্ত দিলো। অথচ কেউ খোঁজ নেয় না।' সমুদ্রের বাবা মো: মনিরুজ্জামান তাজুল (৬৮) সরকারের কাছে সকল শহীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান। পরিবারটি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হলেও ঢাকার রামপুরায় বসবাস করত। সমুদ্র আল-ফোরকান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার ভাই মোর্শেদুজ্জামান জাপানে পিএইচডি করে এবং বোন মিরানা জামান স্বামীর সাথে ফিনল্যান্ডে বসবাস করেন। সমুদ্রের মৃত্যুর পর তার পরিবার ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে গেছে। ঘটনার দিন সমুদ্র সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সাথে ডিআইটি রোডে যায় এবং বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে প্রথমে ডেলটা হাসপাতালে ও পরে বেটার লাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ১০ হাজার টাকা সাহায্য দিয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাসুদা জামানের ছেলে সমুদ্রের শাহাদত
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ
  • মা-এর অপেক্ষা ও দুঃখ
  • সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবি
  • পরিবারের ঢাকা থেকে গ্রামে প্রত্যাবর্তন