মোসলেহ উদ্দিন নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হওয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। নিম্নে উল্লেখিত তথ্যগুলি বিভিন্ন মোসলেহ উদ্দিনদের পার্থক্য করতে সহায়তা করবে:
১. আল্লামা মুসলেহ উদ্দিন:
একজন বাংলাদেশী আলেম, অধ্যক্ষ ও ইসলামি গবেষক ছিলেন। তিনি জামাতে আহলে সুন্নত বাংলাদেশের মহাসচিব ছিলেন এবং চট্টগ্রাম ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম ছোবহানিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফতোয়া-ইসলামি আইন, রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং উর্দু, আরবি, ফার্সি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তার জ্ঞানের জন্য তিনি 'এই যুগের ইমাম গাজ্জালী' নামে খ্যাত ছিলেন। ১৯৩৮ সালে চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১২ সালের ২১ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন। চট্টগ্রামে তার কর্ম ও স্মৃতি নিয়ে আলোচনার জন্য 'অধ্যক্ষ আল্লামা মুসলেহ উদ্দিন (রহ.) ফাউন্ডেশন' গঠন করা হয়েছে।
২. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ:
একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ঢাকা-২৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
৩. অধ্যাপক মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ:
একজন বাংলাদেশী কূটনীতিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক ছিলেন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম উপাচার্য ছিলেন। ফ্রান্স ও রোমানিয়ার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ইস্রায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে 'প্রতিশ্রুত ভূমি' নামে একটি বই লিখেছিলেন। ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
৪. এ এম মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ:
একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আইনজীবী। ১৯৯৪ সাল থেকে ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০১ সাল থেকে আয়কর আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
৫. রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন। তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরের দত্তেরগাঁও গ্রামে।
উপরোক্ত তথ্যগুলি বিভিন্ন মোসলেহ উদ্দিনদের সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। আরও তথ্য প্রাপ্তির পরে এই তথ্য আরও পরিপূর্ণ করা হবে।