মো. হাবিবুর রহমান হামিদ নামটি একাধিক ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, আমরা কমপক্ষে তিনজন মো. হাবিবুর রহমান হামিদ সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করার জন্য আমরা প্রত্যেককে আলাদাভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করবো:
১. মো. হাবিবুর রহমান (১৯৩৪-২০২২): একজন প্রখ্যাত আলিম ও শায়খুল হাদিস। বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ-এর সাবেক সভাপতি। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি সিলেটের গাছবাড়ি জামেউল উলূম মাদরাসা থেকে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন। তিনি ইছামতি দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসায় শিক্ষকতা ও প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও তিনি কিছুদিন বিচারক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯১ সালে তিনি 'মাসিক শাহজালাল' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেন। তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এবং ১৯৭০ সালে নেজামে ইসলাম পার্টির মনোনয়নে এমএনএ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর করে ইসলামি শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২. মো. হাবিবুর রহমান: বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২৫ সালের প্রথম দিকের সংবাদ অনুযায়ী, তিনি অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব পদে প্রমোশন পেয়েছিলেন।
৩. মো. হাবিবুর রহমান (৩ ডিসেম্বর ১৯২৮ - ১১ জানুয়ারি ২০১৪): বাংলাদেশের ৭ম প্রধান বিচারপতি এবং পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি একজন খ্যাতিমান লেখক, রবীন্দ্র গবেষক, শিক্ষাবিদ ও আইনজীবী। তার রচিত বইয়ের মধ্যে 'যথাশব্দ', 'কোরান সূত্র', 'বচন ও প্রবচন', 'গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ', 'কোরান শরীফের সরল অনুবাদ' প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
উপরোক্ত তিনজন ব্যক্তির তথ্য প্রদত্ত তথ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যদি আরো তথ্য প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা আপনাকে জানাবো।