প্রধান বিচারপতি: বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান। তিনি বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার নেতৃত্ব দেন। রাষ্ট্রপতি সাধারণত আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারককে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেন। প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন মামলার শুনানি, বিচার ও নিষ্পত্তি করেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেন এবং অধস্তন আদালতের বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণ বৈঠকের সভাপতি এবং বিভিন্ন আইনের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ঐতিহাসিক দিক:
১৯৭৬ সালে সামরিক আইন প্রবর্তনের পর সুপ্রিম কোর্টকে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে ভাগ করা হয়। সৈয়দ এ.বি. মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং রুহুল ইসলাম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে দুটি আদালত পুনরায় একীভূত হয়।
বাংলাদেশে বহু প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব পালন করেছেন; তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: বিচারপতি এ.এম. সায়েম, বিচারপতি সৈয়দ এ.বি. মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি এফ.কে.এম.এ. মুনিম, বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী, বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বিচারপতি এ.টি.এম. আফজাল, বিচারপতি মুস্তাফা কামাল, বিচারপতি লতিফুর রহমান, বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী, বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরী, বিচারপতি কে. এম. হাসান, বিচারপতি সৈয়দ জে. আর. মোদাচ্ছির হোসেন, বিচারপতি মোঃ রুহুল আমিন এবং বিচারপতি এম.এম. রুহুল আমিন।
প্রধান বিচারপতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ কারণ তিনি দেশের বিচার ব্যবস্থার নীতি নির্ধারণ ও তদারকি করেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেন।