মো. নুরুদ্দীন

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৫৫ এএম
নামান্তরে:
মো নুরুদ্দীন
মো. নুরুদ্দীন

ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় সংঘটিত ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাসচালক মো. নুরুদ্দীন। ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় একটি বেপারী পরিবহনের বাস তিনটি গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে ৬ জনের প্রাণ কেড়ে নেয় এবং আরও চারজন আহত হন। এই দুর্ঘটনার পর বাসচালক মো. নুরুদ্দীন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার (২৯শে ডিসেম্বর) মো. নুরুদ্দীনকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি জানান, বাসটির ব্রেক ও ক্লাচের সমস্যা ছিল এবং বাস মালিকের ছেলের চাপে তিনি বাসটি চালাতে বাধ্য হন। মো. নুরুদ্দীন এবং বাস মালিক ডাব্লিউ বেপারী উভয়কেই আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এই দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৪ জন ছিলেন। নিহতরা হলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার, তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান, ছোট মেয়ে রিহা মনি, ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন, এবং মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ। এই দুর্ঘটনায় আহত হন নুর আলম, ফাহমিদা আক্তার, হাবিবুর রহমান ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া। নিহত আমেনা আক্তারের ভাই মো. নরুল আমিন বাদী হয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মো. নুরুদ্দীন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা বাস চালক, হেল্পার, বাসের মালিক এবং বেপারী পরিবহনের কর্তৃপক্ষকে আসামী করা হয়। ঘটনার স্থান ছিল ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা।

মূল তথ্যাবলী:

  • ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় বাস দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত
  • বেপারী পরিবহনের চালক মো. নুরুদ্দীন গ্রেফতার
  • আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি
  • কারাগারে পাঠানোর আদেশ
  • মামলা দায়ের

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মো নুরুদ্দীন

মো. নুরুদ্দীন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাস চালানোর দায় স্বীকার করেছেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।