আমেনা আক্তার নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। প্রথম আমেনা আক্তার, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় তার দুই মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪) এবং রিহা মনির (১১) ও নাতি আইয়াজ হোসেন (২) এবং স্বামী ইকবাল হোসেনের (৫০) সঙ্গে থাকতেন ঢাকার জুরাইনের কমিশনার রোডে।তার বোন জোসনা আক্তার। দ্বিতীয় আমেনা আক্তার, বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের স্ত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা।
প্রথম আমেনা আক্তার (৪০) একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তার দুই মেয়ে ইসরাত জাহান ও রিহা মনির, এবং নাতি আইয়াজের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন। এই দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায়। তার বাবার বাড়ি নন্দনকোনা গ্রামে। শোকাহত স্বজনদের বিলাপে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে।তার মেঝো মেয়ে অনামিকা ও তার স্বামী সোহান আহত হয়। নিহত আমেনা আক্তারের স্বামী ইকবাল হোসেন গোপালগঞ্জে ননদের স্বামীর মৃত্যুতে দোয়া ও মিলাদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ইকবাল হোসেন তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও নাতিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এবং সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। আমেনার দেবর জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেন। আমেনার বড় ভাই নুরুল আমিন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং র্যাব বাসের চালককে আটক করেছে।
দ্বিতীয় আমেনা আক্তার (৬৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের স্ত্রী ছিলেন। তিনি মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। তার জানাজা ধানমন্ডির শঙ্কর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেন।