মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
মো জসিম উদ্দিন মোল্লা
মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা

মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা: জুলাই-আগস্টের গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার

জুলাই-আগস্ট ১৯৯০ সালের গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লাকে। ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ বুধবার রংপুর থেকে গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকা এনে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তিনিই প্রথম পুলিশ কর্মকর্তা যাকে এই অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। হাজিরির পর প্রায় ৬ ঘণ্টা তিনি বিমর্ষ এবং কান্নারত অবস্থায় ছিলেন। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানীতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, জসিম উদ্দিনের অধীনে মিরপুর থানার আওতায় কয়েকশ ছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল যথাযথ তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

তার স্ত্রী ও দুই সন্তান ট্রাইব্যুনালের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। স্ত্রী জানান, গত ৫ আগস্ট মিরপুর থানায় আগুন দেওয়ায় জসিম উদ্দিন ৮ ঘণ্টা আটক ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের আদেশ শুনে আবেগঘন হয়ে কাঁদতে থাকেন।

এর আগে, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৭ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল ট্রাইব্যুনাল। ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে জসিম উদ্দিনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

disambiguesTitle

মূল তথ্যাবলী:

  • মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার ছিলেন।
  • তিনি জুলাই-আগস্ট ১৯৯০ সালের গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হন।
  • ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ তাকে রংপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
  • ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
  • তার বিরুদ্ধে মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।