বেনাপোলে ‘মেসার্স আলতাফ অ্যান্ড সন্স’ এবং শুল্ক ফাঁকির ঘটনা
গত ২ জানুয়ারী রাতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ঘোষণাবহির্ভূত চিকিৎসা সামগ্রী, সানগ্লাস এবং ওষুধ বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান (যশোর ট-১১-৪৯২১) জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে কাস্টমস-বিজিবি যৌথ চেকপোস্টে এই কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার আবু সালেহ আব্দুন নূর এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়। ভারত থেকে আমদানি করা ১২ টন ওজনের ২৩৫ প্যাকেজের এই পণ্য চালানটি গত সপ্তাহে বন্দরে প্রবেশ করে। আমদানিকারকের পক্ষে কাস্টমস থেকে পণ্য চালানটি ছাড়করণের জন্য কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করে ‘মেসার্স আলতাফ অ্যান্ড সন্স’ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান।
এই ঘটনার পর বেনাপোল স্থলবন্দরে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরণের অবৈধ আমদানির কথা জানিয়ে আসছেন। বন্দরের ব্যবস্থাপনা ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের ধরন নিয়েও সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার এইচএম শরিফুল হাসান বন্দরের পণ্য চালান পর্যবেক্ষণের কষ্টসাধ্যতা এবং দুর্বল গেট ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করেছেন।
মেসার্স আলতাফ অ্যান্ড সন্স সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এটি একটি সিঅ্যান্ডএফ (Clearing and Forwarding) এজেন্ট প্রতিষ্ঠান যা বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে এই প্রতিষ্ঠানের আরও বিস্তারিত তথ্য বর্তমানে উপলব্ধ নয়। আমরা অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপনাদের অবহিত করব।