বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষাগুলির উদ্দেশ্য হলো মেধাবী শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে তাদের উচ্চশিক্ষার পথ সহজ করে তোলা এবং তাদের অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করা। প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এই পরীক্ষাগুলি নেওয়া হয়।
সরকারি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা: সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মেধা বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে। প্রাথমিক স্তরে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) পরীক্ষা পরিচালনা করে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং ফলাফল ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় সাধারণ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি দেওয়া হয়, যেখানে ৮০% নম্বর লাভ করা প্রয়োজন। মাধ্যমিক স্তরে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধা ও সাধারণ বৃত্তি প্রদান করে। মোট ২৫,৫০০ শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করেছে। মেধাবৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ৬০০ টাকা এবং বছরে এককালীন ৯০০ টাকা, এবং সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ৩৫০ টাকা এবং বছরে এককালীন ৪৫০ টাকা দেওয়া হয়।
বেসরকারি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা: বেসরকারি সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরাও মেধা বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেন। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন ২০২৪ সালের নভেম্বরে মৌলভীবাজার জেলায় একটি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করে। এতে ৬৩৩৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আরও, বাজালিয়া সমিতি চট্টগ্রাম ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একটি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করে, যাতে ৩০ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশন প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা নেয়।
বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য: এই পরীক্ষাগুলির প্রশ্নপত্র, নম্বর, পরীক্ষার সময়কাল ও বিষয়বস্তু পরীক্ষা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। কিছু পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশ্ন করা হয়, যখন আবার অন্য কিছুতে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রশ্ন থাকে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে নগদ অর্থ, বই, স্কলারশিপ ইত্যাদি দেওয়া হতে পারে।