মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৭ এএম

মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন: একাধিক ব্যক্তি ও তাদের অবদান

উল্লেখ্য, "মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন" নামটি একাধিক ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত। এই নামের ব্যক্তিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদানের জন্য বিশদ জানার জন্য আমরা নিচে দুইজন ব্যক্তির তথ্য উপস্থাপন করেছি:

১. মাওলানা মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন:

মাওলানা মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন একজন বিলাতী বাংলাদেশী শিক্ষক, গীতিকার ও আন্তর্জাতিক ইসলামী গজল শিল্পী। তিনি হাইড জামিয়া মসজিদের ইমাম। ২০১৬ সালে ভূরাজনীতির অধ্যাপক ডাক্তার শেদমীর নেস্তরভিচ সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলমান শিল্পীর তালিকায় কামাল উদ্দিনকে অন্তর্ভুক্ত করেন।

কামাল উদ্দিনের জন্ম হয় ১৪ আষাঢ় ১৩৯১ (২৮ জুন ১৯৮৪) রোজ বৃহস্পতিবারে ইংল্যান্ডে। তিনি হাইড নামক বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের ছোট নগরীতে বাস করেন। তার বাবার নাম হাজী মালকাস আলী এবং মা ছুফিয়া আলী। তারা দুজন বাংলাদেশের সিলেট বিভাগ থেকে বিলাতে এসেছিলেন। কামাল উদ্দিনের দুই ভাই আছে যাদের নাম ফয়সল উদ্দিন ও খাইরুল উদ্দিন।

কামাল উদ্দিনের শিক্ষাজীবন শুরু হয় গ্রীনফীল্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর তিনি হাইড সামাজিক প্রযুক্তি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৯৬ গ্রীষ্মকালে, তিনি বল্টন আল-জামিয়াহ আল-ইসলামিয়াহ দারুল উলূম মাদ্রাসায় ভর্তি হন যেখানে হিফজ (পুরো কুরআন মুখস্থ করা) শুরু করেন। ২০০১ সালের শেষ দিকে, তিনি হিফজ শেষ করেন এবং হাফেজ হন। তার পিতার মৃত্যুর পর ২০০২ সালে আরবী ভাষা শেখার জন্য পূর্ব রেটফর্ড জামিয়া আল-কারাম মাদ্রাসায় ভর্তি হন।

২০০৪ সালে তিনি হাইড জামিয়া মসজিদে ইমাম ও শিক্ষক হন এবং কুরআন, হিফজ ও ইসলামী গজল শেখানো শুরু করেন। জানুয়ারী ২০০৫ সালে, তিনি ও তার মা ছুফিয়া আলী হজ্জ সফরে যান। হজ্জ থেকে ফিরে, তিনি গীতিকারী জীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে তার প্রথম অ্যালবাম “ইন দ্যা ন্যাম অব আল্লাহ” (আল্লাহর নামে) প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি একাধিক অ্যালবাম প্রকাশ করেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং ইসলাম চ্যানেলের জাতীয় নাশিদ মোকাবেলায় ১ নম্বর পুরষ্কার জিতে নেন। ২০১৮ সালে নতুন প্রকাশনার সাথে তিনি আবার গানের জগতে ফিরে আসেন। ২০১৯ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় সফর করেন।

২. বাউল কামাল উদ্দিন (কামাল পাশা):

বাউল কামাল উদ্দিন, বা কামাল পাশা (জন্ম: ৬ ডিসেম্বর ১৯০১ – মৃত্যু: ৬ মে ১৯৮৫), একজন বাংলাদেশী মরমী কবি, গীতিকার, সুরকার, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। ভাটি বাংলার বিখ্যাত গায়ক হিসেবে তিনি দেশ-বিদেশে সমাদৃত ছিলেন। প্রায় ছয় হাজার গানের রচয়িতা ছিলেন তিনি।

তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বাউল কবি আজিজ উদ্দিন এবং মাতার নাম আমেনা খাতুন। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন এবং বাংলা, উর্দু, আরবি ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতেন ও সঙ্গীত রচনা করতেন। তিনি নানকার বিদ্রোহের সাথে জড়িত ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের জনসভায় গান গেয়েছিলেন। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম ও জওহরলাল নেহরু'র অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার অনেক গান বইয়ের রূপে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ১৯৮৫ সালের ৬ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।

যদি আপনার এই দুই ব্যক্তি ছাড়াও অন্য কোনো মুহাম্মদ কামাল উদ্দিনের তথ্য জানার প্রয়োজন হয়, তাহলে দয়া করে আমাকে জানান। আমরা যত সম্ভব সম্পূর্ণ তথ্য দিতে চেষ্টা করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাওলানা মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন: ইসলামী গজল শিল্পী, হাইড জামিয়া মসজিদের ইমাম
  • বাউল কামাল উদ্দিন (কামাল পাশা): মরমী কবি, গীতিকার, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক
  • মাওলানা কামাল উদ্দিনের জন্ম: ২৮ জুন ১৯৮৪, ইংল্যান্ড
  • বাউল কামাল উদ্দিনের জন্ম: ৬ ডিসেম্বর ১৯০১, সুনামগঞ্জ
  • মাওলানা কামাল উদ্দিন: ২০০৫ সালে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ
  • বাউল কামাল উদ্দিন: প্রায় ছয় হাজার গানের রচয়িতা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন

মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বড়লেখা উপজেলা যুব কল্যাণ পরিষদের উপজেলা সভাপতি। তিনি উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন।