মিটন চাকমা

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৫২ পিএম

মিটন চাকমা: পার্বত্য চট্টগ্রামের এক যুব নেতার আকস্মিক মৃত্যু

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নেতা মিটন চাকমার হত্যাকাণ্ড ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর ঘটে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সক্রিয় নেতা ছিলেন। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি ইউপিডিএফে যোগ দেন এবং দলের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন।

মিটন চাকমা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিতে সোচ্চার ছিলেন, যেমন- ক্যাম্পাসে নির্বিচার গাছকাটা বন্ধ, চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল বন্ধ আন্দোলন, ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নবিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চাপ ও হেনস্তার মুখেও দমে যাননি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অমায়িক ও ভদ্র ছিলেন, সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন।

মিটন চাকমার হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফ পক্ষ থেকে জনসংহতি সমিতির (সন্তু লারমা) সশস্ত্র দলের উপর অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত চালিয়েছে এবং তাদের জারি করা বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো এবং বিচারের দাবী করা হয়। মিটন চাকমার হত্যাকাণ্ডের পর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। তার মৃত্যুতে তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং একজন উদীয়মান নেতৃত্বের ক্ষতি হিসেবে তাঁর অকাল মৃত্যুকে দেখা হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে মিটন চাকমা নিহত হন।
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের ছাত্র ছিলেন মিটন।
  • ইউপিডিএফ এর সংগঠক হিসেবে কাজ করছিলেন।
  • পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।
  • তার হত্যার জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে ইউপিডিএফ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মিটন চাকমা

মিটন চাকমা চমেক হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শব্দদূষণের প্রভাব সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন।