মারফত আলী: একজন ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও জননেতা
এই প্রবন্ধে কয়েকজন মারফত আলীর জীবনী ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য অতিরিক্ত তথ্য প্রয়োজন হতে পারে।
মারফত আলী (ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা):
১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার মালিদাহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মারফত আলী। তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় ছাত্রনেতা। ১৯৬৮-৬৯ সালে কুষ্টিয়া কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হন। কুষ্টিয়া কলেজ থেকে বি.এস.সি. ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবী আদায়ের জন্য কাজ করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি একজন সেরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন; মিরপুর, গাংনী, আলমডাঙা থানায় তার নেতৃত্বে বহু সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধারা সফলতা পেয়েছে। ১৯৬৭ সালে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ও নিউক্লিয়াসের সদস্য হন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শোনার জন্য ঢাকায় যান এবং ফিরে এসে জয় বাংলা বাহিনী গঠন করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেন। ২৩শে মার্চ কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন ও জয় বাংলা বাহিনীর কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি আমলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং আমলা কলেজেই তার কবর অবস্থিত। ১৯৯১ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী আততায়ীর গুলিতে তিনি প্রাণ হারান।
মারফত আলী (অন্যান্য):
এই নামের অন্যান্য ব্যক্তিদের তথ্য সীমিত। আরও তথ্য পাওয়ার পর আমরা এই অংশটি আপডেট করবো। উল্লেখযোগ্য যে, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১১ বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন একজন মারফত আলী মাস্টার। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ছিলেন এবং গণমানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও, শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একজন মারফত আলী শেখের বিরুদ্ধে। এই মারফত আলীরা কতজন এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল তা নির্ণয়ের জন্য অধিক তথ্যের প্রয়োজন।
আশা করি এই প্রবন্ধ আপনার জন্য উপকারী হবে।