মহিউদ্দিন রনি: বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একক সংগ্রামী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি বাংলাদেশ রেলওয়ের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, টিকিট কালোবাজারি এবং যাত্রীদের হয়রানির বিরুদ্ধে একক আন্দোলন শুরু করে সারা দেশের নজর কেড়েছেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নিজে রেলের টিকিট কাটতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার পর তিনি কমলাপুর রেল স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেন। তার ছয় দফা দাবিতে রেলের টিকেট কেনা-কাটা সহজতর করা, টিকেট কালোবাজারি বন্ধ, যাত্রী সেবা উন্নয়ন, ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নতকরণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তার এই আন্দোলন দেশের বিভিন্ন স্থানে সাড়া ফেলে; জামালপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঈশ্বরদী, সিলেট ও চট্টগ্রামেও একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলন হয়। হাইকোর্টও এই আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মহিউদ্দিন রনির টিকিট কেনার সময় টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে 'সহজ লিমিটেড জেভিকে' দুই লাখ টাকা জরিমানা করে।
মহিউদ্দিন রনি তার আন্দোলনে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও চাপের মুখোমুখি হলেও তিনি তা থেকে ভয় পাননি এবং তার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি রেলমন্ত্রী ও রেল কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেন এবং তার দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। অবশেষে, রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা রেখে তিনি তার অবস্থান কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। পরবর্তীতে তিনি রেলওয়ে অংশীজন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন কারণ তিনি কমিটিকে কার্যকরী মনে করেননি। মহিউদ্দিন রনির একক আন্দোলন রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেছে।