রেল আন্দোলন

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১০ এএম

রেল আন্দোলন: একটি বহুমুখী চিত্র

'রেল আন্দোলন' শব্দটি একক ঘটনাকে বোঝায় না, বরং বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন সংগঠন বা ব্যক্তির নেতৃত্বে সংঘটিত রেল পরিষেবা ব্যাহতের ঘটনাগুলির একটি সমষ্টি। এই নিবন্ধে আমরা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রেল আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরব।

১. সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল বাতিলের প্রতিবাদ: ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গুরে 'সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল' নামের একটি লোকাল ট্রেনের গতিপথ পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও রেল অবরোধ হয়। সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। জমি আন্দোলনের স্মৃতি রক্ষার্থে চালু করা এই ট্রেনের পরিবর্তনে সিঙ্গুরবাসীর ক্ষোভ ছিল প্রবল। বিক্ষোভে প্রায় দেড় ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ থাকে।

২. কোচবিহার রাজ্য গঠনের দাবিতে রেল অবরোধ: ২০১৪ সালে কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে 'গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন' (GCPA) জোড়াই স্টেশনে রেল অবরোধ করে। এই আন্দোলনের ফলে বন্দে ভারতসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বাতিল হয়। আন্দোলন প্রায় 5 ঘণ্টা চলে, রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

৩. রেলওয়ে কর্মীদের বিক্ষোভ ও ট্রেন আটক: বাংলাদেশে, বিভিন্ন সময় রেলওয়ে শ্রমিক সংগঠন বেতন বৃদ্ধি, মাইলেজ প্রদান, চাকরি স্থায়ীকরণ, ট্রেন বিরতি ইত্যাদি দাবিতে বিক্ষোভ ও ট্রেন অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলির ফলে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয় এবং যাত্রীদের যথেষ্ট অসুবিধা হয়। গত ছয় মাসে ১৯ বার রেলপথ অবরোধ, ট্রেন আটক ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য, এই তালিকা সম্পূর্ণ নয়। বিভিন্ন কারণে অন্যান্য রেল আন্দোলনও সংঘটিত হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংযুক্ত করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • সিঙ্গুরে 'সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল' ট্রেন বাতিলের প্রতিবাদে তৃণমূলের বিক্ষোভ
  • কোচবিহার রাজ্য গঠনের দাবিতে রেল অবরোধ
  • বাংলাদেশে রেলকর্মীদের বিক্ষোভ ও ট্রেন আটকের ঘটনা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।