পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কৃষকরা রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারে সফল হয়েছেন। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের পাশাপাশি উৎপাদন খরচও কমেছে। শিম, ফুলকপি, টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন ফসলে রাসায়নিক সারের বদলে ভার্মি কম্পোস্টসহ বিভিন্ন জৈব সার ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মাটির উর্বরতা কমে যাওয়ায় কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার পর, কৃষি বিভাগ কৃষকদের রাসায়নিকের ব্যবহার কমিয়ে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের পরামর্শ দিয়েছে। জৈব বালাইনাশক ও পোকা দমন কৌশল প্রয়োগে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন নিরাপদ সবজি উৎপাদন হচ্ছে। প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহযোগিতায় রাসায়নিকমুক্ত শিম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। আটঘরিয়ার সবজি চাষিরা জানান, আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে ফলন বাড়াতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারে নিজেদের রোগবালাই বেড়েছে। তাই তারা এখন জৈব সার, যেমন ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারে ঝুঁকেছে। মাজপাড়া ইউনিয়নের এক চাষি জানান, জৈব সারের ব্যবহারে আবাদের খরচ কমেছে এবং নিরাপদ সবজি উৎপাদন হচ্ছে।
ভার্মি কম্পোস্ট
মূল তথ্যাবলী:
- রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহারে আটঘরিয়ার কৃষকদের সাফল্য
- বিষমুক্ত ও নিরাপদ সবজি উৎপাদনে ভার্মি কম্পোস্টের ভূমিকা
- জৈব সার ব্যবহারে উৎপাদন খরচ কমেছে
- কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি