বিসিক শিল্পনগরী: উন্নয়ন, প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্পনগরী স্থাপনের মাধ্যমে শিল্প উদ্যোক্তাদের সহায়তা করে থাকে। তবে, সম্প্রতি মিরসরাইয়ে অবস্থিত একটি বিসিক শিল্পনগরীতে উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার কথা জানা গেছে।
মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরী:
২০০৯ সালে সরকারের উদ্যোগে মিরসরাইয়ে বিসিক শিল্পনগরী স্থাপনের কাজ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে এটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। ২০১৭ সালে ১৫.৩২ একর জমিতে এই শিল্পনগরীর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় হয় ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। শিল্পনগরীটিতে ৮৮টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হলেও বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংকটের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করতে পারছে না। বর্তমানে মাত্র ৮টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করেছে, যা পুরো শিল্পনগরীর ক্ষমতার তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।
চ্যালেঞ্জ:
মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর মূল সমস্যা হলো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগের অভাব। ঘনঘন লোডশেডিং এবং গ্যাস সংযোগের অভাবে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের কারখানা স্থাপন করতে দ্বিধা করছেন। পানির সমস্যা ও একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব ও প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত জটিলতা এই সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করে তুলছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
বিসিক কর্মকর্তারা আশা করছেন যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যা সমাধান করা হলে এই শিল্পনগরীতে বেশি সংখ্যক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হবে এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তবে এই প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
অন্যান্য বিসিক শিল্পনগরী:
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিসিকের অন্যান্য শিল্পনগরী ও বিদ্যমান। তবে এই সকল শিল্পনগরীর উন্নয়ন ও প্রগতি বিভিন্ন কারণে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এই সকল শিল্পনগরীর সুষ্ঠু বিকাশ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার:
বিসিক শিল্পনগরী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে এর সুষ্ঠু বিকাশের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরী।