বিদেশমুখীতা

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘চিকিৎসাসেবায় বিদেশমুখীতা: আমাদের উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে এই সমস্যা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন কর্তৃক ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ২১ ডিসেম্বর আয়োজিত এই বৈঠকে উঠে আসে বিদেশমুখীতার নানা দিক। বক্তারা জানান, বিদেশগামী রোগীদের ৫৩% রোগ নির্ণয় ও চেকআপের জন্য বিদেশ যান। বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ দশম স্থানে রয়েছে যারা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায়। বিদেশগামী রোগীদের মধ্যে ৫% চিকিৎসক। ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রধান গন্তব্য। ভারতে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু প্রধান চিকিৎসা গ্রহণের স্থান। হৃদরোগ, চোখের ছানি, কিডনি রোগ ও ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে বেশি মানুষ বিদেশ যায়। দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থার অভাব, অপপ্রচার, দক্ষ জনবলের অভাব, রোগ নির্ণয় ব্যবস্থার অসম্পূর্ণতা, ওষুধের দাম বেশি এবং চিকিৎসাসেবায় সেবাদানকারীদের ব্যবহারের অভাব ইত্যাদি বিদেশমুখীতার প্রধান কারণ। বক্তারা সরকারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে হৃদরোগ চিকিৎসার মানসম্পন্ন কেন্দ্র গড়ে তোলার, আঞ্চলিক হাসপাতালের উন্নয়নের মতো পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। গণমাধ্যমকে ইতিবাচক খবর বেশি প্রচারের আহ্বান জানানো হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবায় বিদেশমুখীতা বেড়ে চলেছে।
  • ৫৩% রোগী রোগ নির্ণয় ও চেকআপের জন্য বিদেশ যান।
  • ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর প্রধান গন্তব্য।
  • চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থার অভাব প্রধান কারণ।
  • সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রয়াসের আহ্বান।