বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী: সংক্ষিপ্ত জীবনী ও কর্মজীবন
দেবাশীষ রায় চৌধুরী বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যিনি একাধারে বিচারক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর জন্ম ৯ এপ্রিল ১৯৫৯ সালে। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিচারক হিসেবে কর্মজীবন:
৯ অক্টোবর ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি সহ আরও ২২ জনকে উচ্চ আদালত বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের সাথে মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কর্তৃক দায়েরকৃত একটি রিট আবেদন শুনানি করেন, যেখানে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই রিটের ফলাফলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তিনি ডিসেম্বর ২০২৩ সালে নিতাই রায় চৌধুরী এবং নিপুণ রায় চৌধুরীর সাথে বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলায় প্রতিনিধিত্ব করেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবন:
দেবাশীষ রায় চৌধুরী একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার কর্মী। তিনি জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামে আদিবাসী বিষয়ক সাবেক সদস্য ছিলেন। তিনি চাকমা সার্কেলের রাজাও ছিলেন। ২০০৬-২০০৮ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর পিতা ত্রিদিব রায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর নির্বাসনে যান, এবং তারপরে দেবাশীষ রায় চাকমা সার্কেলের রাজা হন।
ব্যক্তিগত জীবন:
দেবাশীষ রায় তাতু রায়কে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ইয়ান ইয়ান নামে একজনকে বিয়ে করেন। তাঁর সন্তানদের মধ্যে ত্রিভুবন আর্যদেব রায় (যুবরাজ) ২০০৩ সালে যুবরাজ হন।
উল্লেখযোগ্য: উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর আরও বিস্তারিত জীবনী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও তথ্য পেলে আমরা এই লেখাটি সম্পূর্ণ করতে পারব।