বিচারপতি ফারাহ মাহবুব: একজন অনন্য নারী বিচারকের জীবন ও কর্মজীবন
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিশিষ্ট বিচারক। ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ফারাহ মাহবুব বাংলাদেশের হাইকোর্টে নিয়োগপ্রাপ্ত চতুর্থ নারী বিচারক। বিশিষ্ট আইনজীবী মাহবুবুর রহমানের কন্যা ফারাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯২ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর তিনি জেলা আদালতে উকিল হিসেবে নাম নথিভুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের ৯ই এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০২ সালের ১৫ই মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নথিভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ৮ই আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে উন্নীত হন এবং ২০০৬ সালের ২৩শে আগস্ট একই বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০৩৩ সালের ২৬শে মে অবসর গ্রহণ করবেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের কর্মজীবন কেবলমাত্র আইনী ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি এবং সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি শাহরিয়ার সাঈদ হুসাইন নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন এবং তাদের ফারিশা নামে এক কন্যা রয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৮ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন। এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বাতিলের ঘোষণা ও জনগণের অধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি ৮ই ডিসেম্বর ২০৩২ সালে বিচারপতি মামনুন রহমান অবসর গ্রহণ করলে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি হবেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের জীবন ও কর্মজীবন বাংলাদেশের আইন ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তার অবদান ভবিষ্যতেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।