বিচার বিভাগ

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ: একটি বিশদ বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান অঙ্গের একটি। এটি সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জেলা আদালত, ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল নিয়ে গঠিত। বিচার বিভাগের প্রধান হলেন প্রধান বিচারপতি। বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানের রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করা। সুপ্রিম কোর্ট হলো সর্বোচ্চ আদালত, যার আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ রয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল আপীল বিভাগে করা যায়। বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইনসভা কর্তৃক প্রণীত আইন ও কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি রাখে এবং জুডিসিয়াল রিভিউ-এর মাধ্যমে তাদের বৈধতা যাচাই করে।

জেলা পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচার কার্য পরিচালনা করে। মহানগর এলাকায় মহানগর দায়রা জজ আদালত ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কাজ করে। বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ ধরনের মামলা বিচার করে।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, বিচার বিভাগ ধীরে ধীরে গঠন ও কার্যক্রমে বিকশিত হয়েছে। সংবিধানের বিভিন্ন সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও এখতিয়ার পরিষ্কার করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা নিয়ে বিতর্ক হলেও, এটি দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ) বাংলাদেশের জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। এটি বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে। সংগঠনটির সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সংবিধান দ্বারা পরিচালিত।
  • সুপ্রিম কোর্ট হলো সর্বোচ্চ আদালত।
  • বিচার বিভাগ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
  • বিচার বিভাগ সংবিধানের অভিভাবক।
  • বিজেএসএ জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের সংগঠন।

গণমাধ্যমে - বিচার বিভাগ

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রস্তাব।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

বিচার বিভাগে সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে।