বাবুল আক্তার

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বাবুল আক্তার: একজন বিতর্কিত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা

বাংলাদেশের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বর্তমানে তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামি হিসেবে কারাভোগ করছেন। একসময় তিনি জনপ্রিয় ও সফল পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, বিশেষ করে চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে তার অবদানের জন্য। তবে, তার স্ত্রীর হত্যার অভিযোগ তাকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ফেলে দিয়েছে।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:

১৯৭৫ সালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মদনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাবুল আক্তার। তার পিতা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া একজন সাবেক পুলিশ এসআই ছিলেন। ১৯৯০ সালে বটিয়াঘাটা হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৯২ সালে সরকারি বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ কর্মজীবন ও পদোন্নতি:

২০০৪ সালে বাবুল আক্তার বিসিএস (পুলিশ ক্যাডার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে তিনি র‌্যাব-২, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে ঢাকা পুলিশ সদর দপ্তরে যোগদান করেন। চট্টগ্রামে তার কর্মজীবনে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন এবং জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেন।

স্ত্রীর হত্যা ও গ্রেফতার:

২০১৬ সালের ৫ জুন তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর দীর্ঘদিন তদন্ত চলে এবং অবশেষে ২০২০ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর তদন্তে তাকে মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে তিনি এই মামলায় আসামি হিসেবে কারাভোগ করছেন।

অন্যান্য তথ্য:

বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেনও একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পেও কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগও রয়েছে। এই মামলায় বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন মতামত প্রকাশিত হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাবুল আক্তার একজন বিতর্কিত সাবেক পুলিশ সুপার।
  • তিনি তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত।
  • চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে তার উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল।
  • ২০২০ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
  • বর্তমানে তিনি এই মামলায় কারাভোগ করছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।