বন্দী মুক্তি

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:২৪ এএম

মিয়ানমারে সাম্প্রতিক বন্দী মুক্তি: একটি বিশ্লেষণ

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই অস্থিরতার মধ্যেই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বন্দী মুক্তির ঘটনাটি ঘটেছে। শুধুমাত্র স্বাধীনতা দিবস নয়, বিভিন্ন উৎসব ও ছুটির দিনে মিয়ানমারে এ ধরনের বন্দীমুক্তি একটি প্রচলিত ঘটনা।

এ বছর, শনিবার ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতার ৭৭ তম বার্ষিকী উপলক্ষে মিয়ানমারের সামরিক সরকার ৬,০০০ জনেরও বেশি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে ১৮০ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন কাচিন রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী খেত অংও। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে ১২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল।

এছাড়াও ১৪৪ জন বন্দীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কমিয়ে ১৫ বছর করা হয়েছে। অন্যান্য বন্দীদের সাজা এক-ষষ্ঠাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিস্ফোরক পদার্থ আইন, অবৈধ সংগঠন আইন, অস্ত্র আইন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দোষী সাব্যস্তদের ক্ষেত্রে সাজা কমানো হয়নি।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই মিয়ানমারের দণ্ডবিধির ৫০৫(এ) ধারায় অভিযুক্ত ছিলেন, যা জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা বা আতংক সৃষ্টি করা বা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। বিদেশি বন্দীদের মধ্যে থাই নাগরিকরা তাচিলেকে জুয়া খেলার জন্য এবং ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা মিয়ানমারের আঞ্চলিক জলসীমায় মাছ ধরার জন্য গ্রেফতার হয়েছিল।

বন্দী মুক্তির এই ঘটনার মধ্যে মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের নেত্রী অং সান সু চিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি এখনও বিভিন্ন মামলায় ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তার বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অনেক মনে করে।

এই মুক্তির ঘটনা মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে নতুন মাত্রায় তুলে ধরেছে। আরও তথ্য প্রাপ্তির সাপেক্ষে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যেতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মিয়ানমারের সামরিক সরকার ৬০০০ এর বেশি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
  • মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৮০ জন বিদেশি নাগরিক ছিল।
  • কাচিন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী খেত অংও মুক্তি পেয়েছেন।
  • ১৪৪ জন বন্দীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কমিয়ে ১৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে।
  • অং সান সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বন্দী মুক্তি

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ৫৮৬৪ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

৪ জানুয়ারি ২০২৫

মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে বন্দী মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

০৪ জানুয়ারি

মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে ১৮০ জন বিদেশি ছিল।

৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

৫৮৬৪ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।