মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। এই ঘটনার পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সশস্ত্র সংঘর্ষ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
জান্তার নেতৃত্বে রয়েছেন জেনারেল মিন অং লাইং। তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের উপর সহিংসতা, গ্রেফতার, নির্যাতন এবং গুমের ঘটনা। অং সান সু চি সহ অনেক গণতন্ত্রপন্থী নেতা এখনও কারাভোগ করছেন। জান্তা নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে, কিন্তু বিরোধী দলগুলো এটিকে প্রতারণা বলে অভিহিত করেছে।
মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহী গোষ্ঠী জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এই প্রতিরোধ আন্দোলন দেশের উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং জান্তা সরকারের ক্ষমতা ক্রমশঃ কমে আসছে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এবং গণতন্ত্রপন্থী সংগঠন এই বিদ্রোহে অংশ নিচ্ছে। এই সংঘাতের কারণে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকেই আশ্রয়ের সন্ধানে পালিয়ে গেছে।
জান্তা সরকারের অর্থনীতিও বেশ খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা দেশের অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। জ্বালানী সংকট, মুদ্রাস্ফীতি এবং পণ্যের দাম বৃদ্ধি জনজীবনে প্রভাব ফেলেছে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। দেশের ভেতরে ব্যাপক জনবিরোধ, সশস্ত্র প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। মিয়ানমারের পরিস্থিতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও একটি হুমকি হয়ে উঠেছে।