প্রথম স্ত্রী আটক: দুটি ভিন্ন ঘটনার বর্ণনা
এই শিরোনামে দুটি ভিন্ন ঘটনার কথা উঠে এসেছে। দুটি ঘটনাতেই একজন প্রথম স্ত্রীকে পুলিশ আটক করেছে, কিন্তু ঘটনার প্রকৃতি ও প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ঘটনা ১: ময়মনসিংহের নান্দাইলে দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যু
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১৫ বছর বয়সী রিমা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী পারভেজ মিয়া পলাতক। ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার সকালে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রিমার অচেতন লাশ উদ্ধার হয়। রিমার পরিবার অভিযোগ করেছে যে, রিমাকে তার স্বামী ও প্রথম স্ত্রী ঝুমা আক্তার মিলে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ ঝুমা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। রিমা আচারগাঁও ইউনিয়ন কোনাডাংগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং পারভেজ মিয়া আচারগাঁও ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আহমেদ হোসেনের ছেলে। রিমা সিংরইল ইউনিয়নের দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন এবং তিন মাস আগে পারভেজের সাথে আদালতে এফিডেভিট করে বিয়ে করেছিলেন। রিমা জানতেন না যে পারভেজের ইতোমধ্যে প্রথম স্ত্রী রয়েছে।
ঘটনা ২: সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইমামের হত্যা
সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক মসজিদের ইমাম মাওলানা রুহুল আমিন (৩৭/৩৮) এর হত্যার ঘটনায় তার প্রথম স্ত্রী নাদিয়া বেগম (৩৫/৪০) কে আটক করেছে পুলিশ। ২০ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার হিলালপুরে তার ভাড়া বাসা থেকে রুহুল আমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, নাদিয়া তার স্বামীকে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। রুহুল আমিন ১৫ দিন আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন, এবং এ নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। রুহুল আমিন কানাইঘাট উপজেলার লামা ডেমি গ্রামের শহীদুর রহমানের ছেলে ছিলেন।
ঘটনা ৩: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক ব্যক্তির হত্যা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৫২ বছর বয়সী সাইফুল ইসলাম মণ্ডলের হত্যার ঘটনায় তার প্রথম স্ত্রী নাসিমা খাতুন ও মেয়ে স্বপ্না খাতুন (২০) কে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মণ্ডলজানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাইফুল কয়েকদিন আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদের পর সাইফুলকে নাসিমা দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তারপর তাকে উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনা ৪: পূর্ব মেদিনীপুরে যুবকের গলা কাটা
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে ৩৫ বছর বয়সী দীপঙ্কর গিরির গলা কাটা হত্যার ঘটনায়, তার স্ত্রীকে পুলিশ আটক করেছে। দাবি করা হচ্ছে, স্ত্রীর প্রথম স্বামীই এ ঘটনার সাথে জড়িত। দীপঙ্কর গোপনে এক বিবাহিতা মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্বামী এ ঘটনার পেছনে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।