পেঁচারদ্বীপ

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পিএম

কক্সবাজারের রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ এলাকা বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। মারমেইড বিচ রিসোর্ট নামক একটি প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে এই এলাকা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি স্থাপনা ধ্বংস করে দিলেও, অজ্ঞাত কারণে নির্মাণকাজ আবারও শুরু হয়েছে।

মারমেইড বিচ রিসোর্টের মালিক আনিসুল হক চৌধুরী (এলিয়েন সোহাগ নামেও পরিচিত) ঝাউবীথি কেটে বালুচর দখল, সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে নতুন সেতু নির্মাণ, এবং থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে সরকারি ভূমি দখল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৬ একরেরও বেশি সরকারি জমির এ ধরণের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এই অবৈধ দখল এবং ঝাউ গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

২০১০ সালের ২২ জুলাই কক্সবাজারের এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারমেইড ক্যাফে ও আবাসিক ভবনের অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে নোটিশ দিয়েছিলেন। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরেও রামুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) দুই দফা নোটিশ দিলেও আনিসুল হক কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি। গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা প্রশাসন প্রায় ৬ একর জমি উদ্ধার করে। কিন্তু সম্প্রতি আবারো সেতু নির্মাণ এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করেছে, কিন্তু তাতে কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নিরীক্ষণ করা যায়নি।

পেঁচারদ্বীপ এলাকায় মারমেইড বিচ রিসোর্টের অবৈধ কার্যকলাপের বিস্তারিত তথ্য এখনও সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধ নয়। আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • কক্সবাজারের রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপে মারমেইড বিচ রিসোর্টের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ।
  • ঝাউবীথি কাটা, বালুচর দখল, এবং অবৈধ সেতু নির্মাণের অভিযোগ।
  • ২০১০ সাল থেকেই অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে নোটিশ থাকলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
  • আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছু জমি উদ্ধার হলেও, অবৈধ কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে।
  • বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা দায়ের করেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।