বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ঘটনা বেশ প্রচলিত। সরকারি জমি, সড়কের পাশে, ফুটপাত ও জনসাধারণের ব্যবহারের স্থানে এসব অবৈধ স্থাপনা তৈরি হয়ে থাকে। এতে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পরিবেশের ক্ষতি হয়।
গাজীপুরের ঘটনা: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, সফিপুর, মৌচাক এলাকায় প্রায় ৫০০টির বেশি অবৈধ দোকানপাট গড়ে উঠেছিল। এসব দোকানপাট মূলত সড়কের দুই পাশে ও ফুটপাত দখল করে তৈরি করা হয়েছিল। এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। নাওজোড় হাইওয়ে থানার রইছ উদ্দিন জানান, অসাধু ব্যবসায়ীরা মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করেছিল।
কক্সবাজারের ঘটনা: কক্সবাজারের রামু উপজেলার চৌমুহনী স্টেশনে সড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা ও ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করে রামু উপজেলা প্রশাসন। রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুলের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। প্রায় ৮০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। চৌমুহনী স্টেশনে যানজটসহ নানা সমস্যার কারণে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, রামুকে একটি সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সব অসঙ্গতির বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
লক্ষ্মীপুরের ঘটনা: লক্ষ্মীপুরে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের পাশে দালালবাজার এলাকায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার ও পুলিশ সুপার আকতার হোসেনের উপস্থিতিতে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। লক্ষ্মীপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান চলে। প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে সওজের জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার জানান সপ্তাহজুড়ে জেলা প্রশাসনের তদারকিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে।
উল্লেখ্য, এসব উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করে। অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের আরও আপডেট দিব।