পাবিপ্রবি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা ২০০৮ সালের ৫ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০০৯ সাল থেকে এখানে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক প্রোগ্রামের পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রম চালু হয়। দেশের ২৯তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৭ম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এটি স্বীকৃত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ক্যাম্পাস এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আবাসিক হলের ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয়টি বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ব্যবসা, এবং মানবিক বিষয়ে উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করে। এটি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, সৃজনশীলতা, ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বিকাশে গুরুত্ব প্রদান করে। পাবনা শহরের ৫ কিলোমিটার পূর্বে রাজাপুরে, ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের দক্ষিণে ৩০ একর জমির উপর বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত।

২০০১ সালের ১৫ জুলাই 'পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১' পাসের মাধ্যমে এর স্থাপনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রাথমিকভাবে রাজাপুরের টিটিসি ক্যাম্পাসকে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জুন তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার, বীর উত্তম এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মূল ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউজিসি'র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। বর্তমানে ৫ টি অনুষদে ২১ টি বিভাগ, লাইব্রেরি, গবেষণাগার, ক্যাফেটেরিয়া, স্বাধীনতা স্তম্ভ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, মুক্তমঞ্চ, অডিটরিয়াম এবং ছাত্রাবাসসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র ছাত্র, অনুষদ এবং গবেষকদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তৈরি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ১২টি বাস, শিক্ষকদের জন্য আলাদা যাতায়াত ব্যবস্থা এবং দুটি অত্যাধুনিক এম্বুলেন্স রয়েছে। মেডিকেল সেন্টারও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপলব্ধ। জনসংযোগ দপ্তর 'পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বার্তা' নামে ত্রৈমাসিক সাময়িকী প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনলাইন সংবাদ পোর্টালও রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
  • পাবনা শহরের রাজাপুরে অবস্থিত
  • ৫টি অনুষদে ২১টি বিভাগ
  • আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ ক্যাম্পাস