পাত্রখোলা

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০৭ এএম

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের লেকটি শীতের দিনগুলিতে পরিযায়ী পাখিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত। এই কৃত্রিম লেকে প্রতিবছর শীতের আগমনের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি দলে দলে এসে জড়ো হয়। ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) পাত্রখোলা চা বাগানসহ ৫টি চা বাগানের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক শামছুল ইসলামের মতে, লেকটি মূলত চাগাছ সেচের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে এটি পরিযায়ী পাখিদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।

এই লেকে কালকোর্ট, ধনেশ পাখি, পানকৌড়ি, মচরংভূতি হাঁস, সাদা বক, লালচে বক, সাপ পাখি, কাললেজ জহুরালীসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। পাখিদের জলকেলি, কিচিরমিচির শব্দ এবং ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। লেকের সৌন্দর্য্য রক্ষা এবং অতিথি পাখিদের শিকার রোধে বাগান কর্তৃপক্ষ পাহারার ব্যবস্থা করেছে।

স্থানীয়রা ও দর্শনার্থীরা পাত্রখোলা লেকের পরিবেশ সংরক্ষণের উপর জোর দিয়েছেন এবং বন বিভাগের দিকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, অতিথি পাখিদের অবাধ বিচরণের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে দেশে পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এই লেকটি পর্যটনের ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক উল্লেখযোগ্য স্থান হিসেবে উঠে আসছে। তবে লেকে মানুষের অধিক ভিড় পাখিদের বিরক্ত করে এবং তাদের সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের লেকে শীতকালে অতিথি পাখির আগমন ঘটে।
  • বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এখানে আশ্রয় নেয়।
  • লেকটি চা বাগানের সেচের জন্য তৈরি হলেও এখন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণ।
  • বাগান কর্তৃপক্ষ পাখিদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে।
  • দর্শনার্থীরা অতিথি পাখিদের সুরক্ষা ও অবাধ বিচরণের উপর জোর দিচ্ছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।