পদত্যাগের দাবি

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:৪৯ এএম

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এই দাবির মূলে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বিমুখী বক্তব্য। প্রথমে তিনি ঘোষণা করেন যে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনও লিখিত প্রমাণ তার কাছে নেই। এই মন্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল এবং অন্যান্য সংগঠন রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি তুলেছে।

এই দাবিকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা উত্তাল হয়েছে। বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল মনে করছে, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করবে এবং তাই তারা এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কিছু সংগঠন রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে অটল রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলির সাথে আলোচনার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষয়টি সংবিধানের আলোকে সমাধান করতে হবে। বঙ্গভবনের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে। এই পদত্যাগের দাবির সাথে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধকরণ, নতুন সংবিধান প্রণয়ন, জুলাই বিপ্লবের আলোকে ‘প্রোকলেমেশন অব রিপাবলিক’ ঘোষণা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করার দাবীও জুড়ে রয়েছে।

সাম্প্রতিক ঘটনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ঘিরে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এই দাবির ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি উঠেছে
  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বিমুখী বক্তব্য এর মূল কারণ
  • বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে
  • অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলির সাথে আলোচনা করছে
  • সংবিধানের আলোকে সমাধান খোঁজা প্রয়োজন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পদত্যাগের দাবি

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

তরিকুল ইসলাম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন