গণসংহতি আন্দোলন: বাংলাদেশের একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল যা জনগণের অধিকার ও ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে কাজ করে। ২৯ আগস্ট ২০০২ সালে ‘জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান’ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এর স্লোগান ছিল 'পরিবর্তন সম্ভব, পরিবর্তন চাই'। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন জনসংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হলেও, ২০১৬ সালের ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর তাদের তৃতীয় জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদান করে।
গণসংহতি আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জোনায়েদ সাকি (প্রধান সমন্বয়কারী) এবং আবুল হাসান রুবেল (নির্বাহী সমন্বয়কারী)। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জোনায়েদ সাকি মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন, যদিও পরাজিত হন। তিনি ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন।
গণসংহতি আন্দোলন প্রাণ-প্রকৃতির অধিকার, বিরাজমান ক্ষমতা সম্পর্ক, আইনী ব্যবস্থা, সম্পত্তি সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার, এবং ধর্ম-জাতি-লিংগ ভেদাভেদের অবসানের লক্ষ্যে কাজ করে। তাদের লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর গণমানুষের রাজনীতির ঐতিহ্যকে তারা অনুসরণ করে বলে দাবি করে।
গণসংহতি আন্দোলনের গঠনে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি, নারী সংহতি, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, প্রতিবেশ আন্দোলন ও বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতি। তাদের কার্যক্রম প্রধানত জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চালানো হয়।