নিয়াজ আহমদ খান

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:১১ এএম

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক, যিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ড. খানের পৈত্রিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ। তার পূর্বপুরুষ খান বাহাদুর নাসির উদ্দিন ছিলেন অবিভক্ত ভারতের একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর। পিতামহ কবীর উদ্দিন আহমেদ খান ছিলেন আসাম-বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের ডেপুটি কালেক্টর ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। পিতা শফিক আহমেদ খান জাতিসংঘের পরামর্শক ছিলেন।

ড. খান কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মানবিক বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন, উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে। ১৯৯১ সালে তিনি ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পাদন করেন।

১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ধীরে ধীরে তিনি সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের বিশেষ অতিথি অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) উপ-উপাচার্য এবং ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইইউসিএন, ইউএনডিপি, পিকেএসএফ সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

ড. খান দুই শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের রচয়িতা এবং বর্তমানে ১৭ জন পিএইচডি ও ৮ জন এমফিল গবেষকের তত্ত্বাবধায়ক। তিনি বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠান যেমন- ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি, ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ বন একাডেমি, আর্মি আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুল এবং বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি একাডেমিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আরণ্যক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যানও।

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান: শিক্ষা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে অবদান

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে দেশের শিক্ষা ও উন্নয়ন খাতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও প্রশাসক। তার একাডেমিক সাফল্য, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং গবেষণা কাজের জন্য তিনি বহুল প্রশংসিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য তিনি ব্যাপক সহযোগিতা পেয়েছেন। তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন উচ্চতা অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য
  • চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামে জন্ম
  • চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা
  • ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি
  • ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর
  • দুই শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের রচয়িতা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - নিয়াজ আহমদ খান

ডাকসু নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন এবং সকল ছাত্র সংগঠনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে রোডম্যাপ তৈরির কথা জানিয়েছেন।

অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দূষণমুক্তকরণের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ‘এনভায়রনমেন্ট ইনোভেশন সামিট’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ৩ দিনব্যাপী নন-ফিকশন বইমেলার উদ্বোধন করেন।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাবা ক্লাবের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।