নাসা গ্রুপ: বাংলাদেশের একটি বহুমুখী শিল্প কনগ্লোমারেট
১৯৯০ সালে নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রতিষ্ঠিত নাসা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প কনগ্লোমারেট হিসেবে পরিচিত। গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং, ব্যাংকিং, রিয়েল এস্টেট, মূলধন বাজার, শিক্ষা এবং পর্যটন- এইসব ক্ষেত্রে নাসা গ্রুপের বিস্তৃত ব্যবসায়িক কার্যক্রম রয়েছে।
প্রাথমিক উদ্যোগ: ১৯৯০ সালে স্টারলাইট নিট-ওয়্যার নামে ঢাকার ২/বি এলিফ্যান্ট রোডে তাদের প্রথম কারখানা স্থাপন করে নাসা গ্রুপ যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিকভাবে ৩০০ কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই গ্রুপ বর্তমানে ৩০,০০০ এর বেশি লোককে কর্মসংস্থান দিচ্ছে। নজরুল ইসলাম মজুমদারের সাথে মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১০ সালে নজরুল ইসলাম স্বপন প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যান।
ব্যাংকিং ক্ষেত্রে অগ্রযাত্রা: ১৯৯৯ সালে এক্সিম ব্যাংক (এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড) নাসা গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়। এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যা ১৯৯৯ সালের ৩ আগস্ট থেকে কার্যক্রম শুরু করে। এটি যুক্তরাজ্য, কানাডা, নিউ ইয়র্ক এবং অস্ট্রেলিয়ায় এক্সচেঞ্জ হাউসও স্থাপন করেছে।
রানা প্লাজা ধসের প্রভাব: ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ধসের পর নাসা গ্রুপ তাদের তিনটি কারখানা বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশিত হলেও, নাসা গ্রুপ জানিয়েছে যে কাঠামোগত সমস্যার কারণে তারা ২৪ এপ্রিলের আগেই কারখানাগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল: নাসা গ্রুপ বাংলাদেশের বৃহত্তম গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল প্রস্তুতকারকদের মধ্যে অন্যতম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো এবং ইইউ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের পণ্য রপ্তানি হয়। তাদের ১.১ মিলিয়ন বর্গফুট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ৩৪টি উল্লম্ব মালিকানাধীন কারখানায় ৩০,০০০ এর বেশি শ্রমিক কাজ করে। ২০১৩ সালে তাদের টার্নওভার ছিল ৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অন্যান্য ক্ষেত্র: রিয়েল এস্টেট, স্টক ব্রোকারিং এবং শিক্ষা খাতেও নাসা গ্রুপের ব্যবসা রয়েছে। এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (ইবাউবি) ও তাদের সাথে যুক্ত।
উল্লেখ্য: নাসা গ্রুপের সাথে সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা আপনাকে আপডেট করবো যত তাড়াতাড়ি আমরা আরও তথ্য পাবো।