কলকাতা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানের একটি বিস্তারিত বর্ণনা:
কলকাতার ধর্মীয় স্থান:
কলকাতা শহর বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়ের সমাহার। প্রাচীন স্থাপত্যকলার অপূর্ব নিদর্শন মন্দির, গির্জা, মসজিদ, এখানে সকলেরই দেখা মিলে।
- কালীঘাট কালী মন্দির: ১৯ শতকে নির্মিত এই মন্দির আদিগঙ্গার তীরে অবস্থিত। কষ্টি পাথরের অসাধারণ কালী মূর্তি এর প্রধান আকর্ষণ। দুর্গা পূজার সময় এখানে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
- বিড়লা মন্দির: বিড়লা পরিবার কর্তৃক নির্মিত এই মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে উৎসর্গীকৃত। ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব মেলবন্ধন এটি। জন্মাষ্টমীর সময় এখানে বেশি ভিড় হয়।
- সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল: ১৮০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত এশিয়ার প্রথম এপিস্কোপাল চার্চ। ইন্দো-গথিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মহতী গির্জা কলকাতার বৃহত্তম চার্চ।
- ব্যান্ডেল চার্চ: ১৬৬০ সালে নির্মিত, 'আওয়ার লেডি অফ দ্য রোজারি'কে উৎসর্গীকৃত। পর্তুগিজ উপনিবেশের ইতিহাসের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
- দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির: ১৮৫৫ সালে রানী রাসমণি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। বাংলার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীর এক চমৎকার নিদর্শন।
- নাখোদা মসজিদ: ১৯২৬ সালে নির্মিত রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীন মসজিদ। প্রায় ১০,০০০ ভক্ত ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে।
- কলকাতা জৈন মন্দির (পরশ্বনাথ মন্দির): ১৮৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। জৈন সম্প্রদায়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মীয় স্থান। পার্যুষণ উৎসবের সময় এখানে অনন্য আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিরাজ করে।
গুঠিয়া মসজিদ (বাংলাদেশ):
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গুঠিয়া গ্রামে অবস্থিত এই মসজিদটি ২০০৩-২০০৬ সালে নির্মিত। মুঘল ও আধুনিক ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। ১৪ একর জমির উপর বিস্তৃত এটি। নিরিবিলি পরিবেশ ও সুন্দর নকশার জন্য এটি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়।
অক্সফোর্ড মিশন চার্চ (বাংলাদেশ):
বরিশাল শহরে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক গির্জাটি ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। ব্রিটিশ-গথিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। এটি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপত্যের এক অনন্য উদাহরণ এবং বরিশালের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাসনালয়।
শক্তিপীঠ (ভারত ও বাংলাদেশ):
হিন্দু পুরাণ অনুসারে দেবী সতীর দেহাংশ পতনের স্থানগুলোকে শক্তিপীঠ বলা হয়। মোট ৫১ টি শক্তিপীঠ রয়েছে বলে মনে করা হয়। এদের কিছু ভারতে, কিছু বাংলাদেশে অবস্থিত। প্রতিটি শক্তিপীঠের নাম, অবস্থান, সতীর কোন অংশ পতিত হয়েছিল, দেবীর নাম এবং দ্বাররক্ষক ভৈরবের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা প্রয়োজন।