মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারী সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন, যেমন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামরিক প্রকৌশলী সেবার প্রধান প্রকৌশলী (২০০১-২০০২)। ২০০৪ সালের ঢাকা গ্রেনেড হামলার সময় তিনি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলে ছিলেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পুনরায় এই পদে নিয়োগ পান। ১১ জানুয়ারী ২০২৪ সালে তার উপদেষ্টা পদের নিয়োগ অবসান হয় এবং একই দিনে তাকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়।
তারিক আহমেদ সিদ্দিক শেখ রেহানার স্বামী শফিক সিদ্দিকের ছোট ভাই। তার কর্মজীবন ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাকে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সাথেও জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, অবৈধ আটক, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সূত্র তাকে 'আয়নাঘর' নামক অনিয়মিত বন্দিদশা ও নির্যাতন কেন্দ্র গঠনের নেপথ্য শক্তি হিসাবে উল্লেখ করেছে। এছাড়াও, তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা বিভিন্ন সরকারী প্রকল্প থেকে কমিশন নিয়ে করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক একাউন্ট আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে জব্দ করা হয়।