টেস্টি ট্রিট: বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফাস্টফুড ব্র্যান্ডের অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অধীনে পরিচালিত বঙ্গ বেকারস লিমিটেডের একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান, টেস্টি ট্রিট, বাংলাদেশের ফাস্টফুড খাতে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০১৪ সালে মোহাম্মদপুরে প্রথম আউটলেট খুলে যাত্রা শুরু করে এই ব্র্যান্ড। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই টেস্টি ট্রিট বাংলাদেশ জুড়ে ৩৬০ টির বেশি আউটলেট স্থাপন করেছে, যা এটিকে দেশের বৃহত্তম খাদ্য রিটেইল চেইনগুলির একটি করে তুলেছে।
উল্লেখযোগ্য সাফল্য:
- ২০২২ সালে ২৬ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক ট্রেড ফেয়ারে ‘ফুড স্টল’ বিভাগে স্বর্ণ পুরস্কার অর্জন।
- ২০২৩ সালে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) থেকে ‘এ+’ গ্রেড লাভ।
- ২০২১ সালে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ) এর ‘বেস্ট রিটেইলার – রেস্টুরেন্ট’ এবং ‘বেস্ট রিটেইল ক্যাম্পেইন’ পুরস্কার লাভ।
- ২০২৪ সালে ব্যক্তিদের জন্মদিন নির্ণয়ের জন্য ‘বেস্ট বার্থডে গিফট’ নামে একটি কাস্টমাইজড এআই মডিউল উদ্ভাবন।
বিল্ডিংয়ের বাইরে:
টেস্টি ট্রিট কেবলমাত্র জনপ্রিয় খাদ্য বিক্রিই করে না, তারা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় তাদের কর্মীদের ভোক্তা অধিকার আইন ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
স্থানীয় প্রভাব:
টেস্টি ট্রিটের আউটলেটগুলি দেশের বিভিন্ন শহর ও জেলায়, যেমন মিরপুর (২০১৫), রাজশাহী (২০২২), খুলনা, যশোর, পাবনা (২০২৩), এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভবনে (২০২৪) স্থাপন করা হয়েছে।
পণ্যের বিচিত্রতা:
কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ, বিস্কুট, ডেজার্ট, মিষ্টান্ন ও বিভিন্ন ধরণের বেকারি পণ্য টেস্টি ট্রিটের প্রধান পণ্য।
নেতৃত্ব:
ইব্রাহিম খলিল এই ব্র্যান্ডের সিইও।
টেস্টি ট্রিটের সাফল্যের পেছনে রয়েছে গুণগত মানের পণ্য, দ্রুত সেবা, এবং ব্র্যান্ডিং কৌশল। আগামী দিনগুলিতে টেস্টি ট্রিট এর আরও বেশি বিকাশে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।