জোসনা বেগম: একাধিক পরিচয়ের সাথে একাধিক ঘটনা
বাংলাদেশে ‘জোসনা বেগম’ নামটি একাধিক ব্যক্তি ও ঘটনার সাথে জড়িত। এই নামের দুই জন ব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য, প্রতিটি জোসনা বেগমকে তাদের ঘটনার বিবরণের সাথে উল্লেখ করা হলো।
প্রথম জোসনা বেগম:
একজন মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত এই জোসনা বেগম ৪২ বছর বয়সী। ঢাকার তেজগাঁও থানার কাওরান বাজার শুটকী পট্টি এলাকা থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, তিনি কাওরান বাজার রেললাইন বস্তির মাদকের অন্যতম নিয়ন্ত্রক এবং গাঁজা ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তার কাছ থেকে ১২৫ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার স্বামী মাদকাসক্ত এবং স্বামীর মাদকের খরচ চালানোর জন্যই তিনি এই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে এবং তিনি ১০ বার কারাভোগ করেছেন।
দ্বিতীয় জোসনা বেগম:
এই জোসনা বেগম একজন তৈরি পোশাক শ্রমিক ছিলেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে অস্থির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে র্যাব-৪ তাকে ৩১ অক্টোবর ২০২৩ তার পাল্লবীর কালশী এলাকা থেকে জীবিত উদ্ধার করে। মিরপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল।
তৃতীয় জোসনা বেগম:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শ্রীপতিপুর সোনারপাড়া গ্রামের এক গৃহবধূ। ৯ আগস্ট ২০২৩ বিকেলে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন এবং মোটামুটি ৩৫ বছর বয়সী ছিলেন।
উপরোক্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট, ‘জোসনা বেগম’ নামটি একাধিক ব্যক্তির সাথে যুক্ত। সুতরাং প্রসঙ্গানুসারে তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে।