জিয়াউদ্দিন চৌধুরী

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ এএম

জিয়াউদ্দিন এম চৌধুরী: একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত

১৯৮১ সালের ৩০শে মে, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন জিয়াউদ্দিন এম চৌধুরী। তৎকালীন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক হিসেবে তিনি এই ভয়াবহ ঘটনার সমস্ত প্রবাহ কাছ থেকে দেখেছেন এবং এর বর্ণনা দিয়েছেন তাঁর বই 'দুই জেনারেলের হত্যাকাণ্ড: ১৯৮১-র ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান' এ। বইটিতে তিনি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ঘটনাবলী, জেনারেল মঞ্জুরের গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ড, সে সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

জিয়াউদ্দিন এম চৌধুরী সিভিল সার্ভিসের একজন সাবেক কর্মকর্তা। স্বাধীনতার পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের বিশেষ সহকারী এবং পরবর্তীতে শিল্পমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামানের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ছিলেন তিনি। জিয়াউর রহমানের হত্যার সময় তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত পরিচয় এবং জিয়া রাজনীতি এবং ব্যক্তি হিসেবে জিয়াউদ্দিন চৌধুরীর মূল্যায়ন নিয়েও আলোচনা করেছেন। বইটিতে জিয়াউর রহমানের দল গঠন এবং ১৯৮১ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটের বিষয়টি ও তুলে ধরা হয়েছে।

এই বইতে জিয়াউর রহমান হত্যার পূর্ব পরবর্তী সময়ের ঘটনাবলীর কথা বলা আছে, তিনি ঐ সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক হিসাবে এই ভয়াবহ ঘটনায় জড়িত সব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। বইটি ইতিহাসের এই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা প্রবাহের অনেক অনুদ্ঘাটিত দিক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ছিলেন জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের সময়
  • সিভিল সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তা
  • বঙ্গবন্ধু ও কামারুজ্জামানের সঙ্গে কাজ করেছেন
  • 'দুই জেনারেলের হত্যাকাণ্ড: ১৯৮১-র ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান' বইয়ের লেখক
  • জিয়াউর রহমান ও মঞ্জুর হত্যার ঘটনা তুলে ধরেছেন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - জিয়াউদ্দিন চৌধুরী

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

জিয়াউদ্দিন চৌধুরী শাওমির পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।