শাওমি

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ এএম
নামান্তরে:
জিয়াওমি
Xiaomi
শাওমি Bangladesh
শাওমি

শাওমি কর্পোরেশন (চীনা: 小米), সাধারণত শাওমি নামে পরিচিত, হলো একটি চীনা বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি যা ২০১০ সালে লেই জুন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। এর সদর দপ্তর চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত। শাওমি স্মার্টফোন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ল্যাপটপ, স্মার্ট ঘড়ি, ব্যাগ, ট্রিমার, ইয়ারফোন, মি টেলিভিশন, জুতা, ফিটনেস ব্যান্ড, স্মার্ট হোম ডিভাইস এবং অন্যান্য গ্রাহক ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করে।

শাওমি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক (স্যামসাং এর পরে) এবং এটি ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। শাওমির প্রথম স্মার্টফোন ২০১১ সালের আগস্টে বাজারে আসে এবং দ্রুতই চীনের বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে শাওমি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক হয়েছিল।

চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বিভিন্ন দেশে শাওমির প্রায় ১৬,০০০ এরও বেশি কর্মী রয়েছে। কোম্পানিটির মোট মূল্য ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

শাওমি ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ব্যবসা শুরু করে। শাওমি ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল লেই জুন ও ছয়জন সহযোগীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর প্রাথমিক অর্থায়নে টেমাসেক হোল্ডিংস, আইডিজি ক্যাপিটাল, কিমিং ভেঞ্চার পার্টনার্স এবং কোয়ালকম অন্তর্ভুক্ত ছিল।

শাওমি ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট এমআই ইউআই (বর্তমানে Xiaomi HyperOS) নামে তাদের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ফার্মওয়্যার চালু করে। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে শাওমি বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পণ্য বিক্রি শুরু করে।

শাওমির স্মার্টফোন বাজারজাতকরণ কৌশল অন্যান্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান যেমন স্যামসাং ও অ্যাপল থেকে ভিন্ন। লেই জুন উল্লেখ করেছেন যে, কোম্পানি ফোনের দাম তৈরি খরচের কাছাকাছি রাখে। তারা অন্যান্য পণ্য যেমন পেরিফেরাল ডিভাইস, স্মার্ট হোম পণ্য, অ্যাপস, অনলাইন ভিডিও ও থিম বিক্রির মাধ্যমেও মুনাফা অর্জন করে।

শাওমির প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র চীনে অবস্থিত হলেও, তারা ভারতেও উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছে। নয়ডা, চিত্তুর ও কাঞ্চীপুরমে তাদের মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক উৎপাদন কারখানা রয়েছে। শাওমি বিভিন্ন ধরণের পণ্য উৎপাদন করে যার মধ্যে মোবাইল ফোন, টিভি ও রাউটার উল্লেখযোগ্য। ২০১৪ সালে তাদের প্রথম আল্ট্রাবুক মি নোটবুক এয়ার চীনের কম্পিউটার বাজারে আসে।

শাওমির বিভিন্ন সিরিজের মোবাইল রয়েছে। এমআই সিরিজের ফোনগুলো উচ্চমানের। রেডমি সিরিজের ফোনগুলো বাজেটবান্ধব এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য পরিচিত। ২০১৪ সালে বাজারে আসে তাদের প্রথম ট্যাবলেট শাওমি এমআই প্যাড। মিইউআই (MIUI) হচ্ছে গুগল অ্যান্ড্রয়েডের উপর ভিত্তি করে শাওমি কর্তৃক উন্নত অপারেটিং সিস্টেম। ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল বাজারে আসে শাওমির এমআইওয়াই-ফাই(MiWiFi) সিরিজের রাউটার। ২০১৩ সাল থেকে বাজারে আছে তাদের এমআই সিরিজের অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক স্মার্ট টিভি।

শাওমি তাদের উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেল এবং ক্রমাগত উন্নত পণ্যের জন্য বিখ্যাত। তবে, কিছু সমালোচক শাওমিকে অ্যাপলের অনুকরণকারী বলে অভিহিত করেছেন এবং তাদের ডেটা নিরাপত্তা নীতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০১০ সালে লেই জুন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত
  • বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক
  • চীনের বেইজিংয়ে সদর দপ্তর
  • বিভিন্ন ধরনের গ্রাহক ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করে
  • ২০১৮ সালে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসা শুরু

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শাওমি

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

শাওমি বাংলাদেশের ১ নম্বর মোবাইল ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

১ ডিসেম্বর ২০২৪

শাওমি বাংলাদেশে তাদের নতুন টিভি উন্মোচন করেছে।