জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার: মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাওয়া একটি এনজিও
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার হলো একটি এনজিও (স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) যা বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, তারা বিশেষ করে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের আইনি সহায়তা প্রদানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
- ২০২৪ সালের ডিসেম্বর: ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচার হওয়া ২৬ জন বাংলাদেশি (নারী, পুরুষ ও শিশু) বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর ভারত সরকারের দেওয়া ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসে। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসনে সহায়তা করে। এই ঘটনায় যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতীয় পুলিশ তাদের বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।
- ২০২৪ সালের ডিসেম্বর (অন্য একটি ঘটনা): ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচার হওয়া ১৫ জন বাংলাদেশি নারী ও শিশু সাজাভোগের পর দেশে ফিরে আসে। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করে।
- ২০২৪ সালের নভেম্বর: ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা ২৪ বাংলাদেশি (১১ নারী ও ১৩ পুরুষ) সাজা খেটে দেশে ফিরে আসে। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদান করে।
- ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর: ৯ জন বাংলাদেশি নারী ভারতে সাজাভোগের পর বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসে। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের আইনি ও পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করে।
- ২০২৪ সালের জুলাই: ১৩ জন বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী ভারতে সাজাভোগের পর দেশে ফিরে আসে। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবী সমিতি তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করে।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের কাজ:
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার প্রধানত ভারতে আটক বাংলাদেশিদের আইনি সহায়তা, পুনর্বাসন, ও তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। তারা পাচারকারীদের শনাক্তকরণে ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা প্রদান করে।
প্রধান কর্মকর্তা:
উল্লেখ্য যে, যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত (কিছু প্রতিবেদনে আব্দুল মুহিত হোসেন উল্লেখ আছে) এবং মোহিত কুমার (অন্য একটি প্রতিবেদনে) জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি। আরিফা খাতুনও এ সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখিত হয়েছেন।
সংস্থার ধরণ ও কর্মকাণ্ড:
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার একটি বেসরকারি, অলাভজনক সংস্থা যা মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে। তাদের কর্মকাণ্ড প্রধানত সীমান্তবর্তী এলাকায় কেন্দ্রীভূত।
অতিরিক্ত তথ্য:
এই প্রতিবেদনগুলিতে উল্লেখিত জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সাথে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি ইত্যাদি যৌথভাবে কাজ করে। তাদের কাজে দুই দেশের (বাংলাদেশ ও ভারত) সরকারেরও সহযোগিতা রয়েছে।