বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে জামায়াতে ইসলামী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী রাজনৈতিক দল। ১৯৪১ সালে সৈয়দ আবুল আ'লা মওদুদী ভারতে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এটি ভারত ও পাকিস্তানে পৃথক দলে বিভক্ত হয়। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী পূর্ব পাকিস্তানের শাখা থেকে গড়ে উঠে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে এবং রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস প্রভৃতি আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পর জামায়াত নিষিদ্ধ হয়। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে দলটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকারের অংশ হিসেবে জামায়াতের দুজন সদস্য মন্ত্রী হয়। ২০০৮ সালের পর থেকে নেতৃবৃন্দ আটক এবং যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দণ্ডিত হওয়ায় দলটির কার্যক্রম কিছুটা দুর্বল হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতিবাদে জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি ও অন্যান্য সাজা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে, পরে আবার সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য শরিয়াহ ভিত্তিক ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তবে ২০১২ সালে দলটি তাদের গঠনতন্ত্রে সংশোধন আনে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে। জামায়াতের গঠনতন্ত্র, কার্যক্রম এবং ইতিহাসের বিস্তারিত তথ্যের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য যুক্ত করে এই লেখাটি সম্পূর্ণ করব।
জামাতুল ইসলাম
আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১৮ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সমর্থন
- মুক্তিযুদ্ধের পর নিষিদ্ধকরণ
- যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়
- ২০১৩ সালে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা
- শরিয়াহ ভিত্তিক ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - জামাতুল ইসলাম
জামাতুল ইসলাম, আরফিনা আক্তার, মো. লেবু মিয়া হৃদয় এবং মো. নাঈম মন্ডল বিজিবির ১০২তম রিক্রুট ব্যাচে সেরা সৈনিক হিসেবে পুরস্কার পান।