জলিল ফকির

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:১৯ পিএম

মাদারীপুরের সংঘর্ষ ও জলিল ফকিরের ভূমিকা

২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের মধ্যেরচর এলাকায় এক ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে তিনজন প্রাণ হারান। এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন আক্তার শিকদার, বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। শিকদার ও জলিল ফকির নেতৃত্বাধীন দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আধিপত্য বিস্তারের বিরোধের পরিণতিই ছিল এই সংঘর্ষ।

গত ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর আক্তার শিকদার এলাকা ছেড়ে চলে যান। চার মাস পর তিনি ফিরে এসে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালান। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় জলিল ফকিরের লোকজন পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে আক্তার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার এবং আক্তারের এক সমর্থক সিরাজ চৌকিদার নিহত হন। এছাড়াও অন্তত ১০ জন আহত হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আক্তার শিকদারের নামে ৩৫টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৫টি হত্যা মামলা। জলিল ফকির ও তার লোকজনও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মধ্যেরচর এলাকা শরীয়তপুর, বরিশাল ও মাদারীপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সংঘর্ষে তিনটি জেলার লোকজনও জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় জলিল ফকিরের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

জলিল ফকির সম্পর্কে সংবাদে উল্লেখিত তথ্য সীমিত। তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে মনে হয় যার লোকজন এই সংঘর্ষে জড়িত ছিল।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ব্যাপক সংঘর্ষে তিনজন নিহত
  • আক্তার শিকদার ও জলিল ফকিরের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ
  • আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের বিরোধ
  • আক্তার শিকদারের বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা, ৫টি হত্যা মামলা
  • মধ্যেরচর এলাকায় সংঘর্ষ, তিন জেলার লোকজন জড়িত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - জলিল ফকির

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন।