মধ্যেরচর: রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সহিংসতার ক্ষতচিহ্ন
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের অধীনে অবস্থিত মধ্যেরচর এলাকা সম্প্রতি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সহিংসতার জন্য দুর্ভাগ্যজনকভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর ভোরে এখানে সংঘটিত সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যসহ তিনজন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার বিবরণ: নিহতদের মধ্যে আক্তার শিকদার (৪২) বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন। তার ছেলে মারুফ শিকদার (২০) ও খুনেরচর গ্রামের সিরাজুল চৌকিদার (৩৫)ও নিহত হন। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে মধ্যেরচর এলাকায় ফকির ও শিকদার বংশের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আক্তার শিকদার এলাকা ত্যাগ করেন। শুক্রবার ভোরে তিনি তার লোকজন নিয়ে মধ্যেরচর এলাকায় ফিরে আসলে জলিল ফকিরের লোকজন তাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে হাতবোমা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাধে, যাতে আক্তার শিকদার, তার ছেলে ও সিরাজুল চৌকিদার নিহত হন।
স্থান ও পরিবেশ: মধ্যেরচর একটি চর এলাকা। স্থানীয়দের বর্ণনা অনুসারে, এ এলাকায় জনসংখ্যা মোটামুটি ঘনবসতিপূর্ণ, অর্থনীতি মূলত কৃষিকাজ ও মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল। এই সহিংসতার ঘটনার ফলে এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যাহত হয়েছে।
পরিস্থিতি: ঘটনার পর পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু মধ্যেরচর এলাকায় এ ধরনের সহিংসতা ও দ্বন্দ্বের পুনরাবৃত্তি রোধে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রয়োজন।
উপসংহার: মধ্যেরচরের এই সহিংসতার ঘটনা সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় ভয়াবহ সমস্যা তৈরি করেছে। এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণভাবে গভীর আলোচনা এবং সমাধানের দাবি রাখে।