বাংলাদেশে চিকিৎসা সংকটের বিভিন্ন দিক : সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের পরও কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে সংকট অব্যাহত রয়েছে। ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল), কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে। সরকার ঘোষণা দিলেও বিনামূল্যে চিকিৎসার প্রক্রিয়ায় সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। অনেক আহত ব্যক্তিকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে এবং খাবারের জন্য ব্যক্তিগত খরচ করতে হচ্ছে। ব্র্যাক এবং সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আহতদের চিকিৎসায় সহায়তা করছে। তবে চিকিৎসা প্রক্রিয়ার সঠিক সমন্বয় এবং পর্যাপ্ত তহবিলের অভাব রয়েছে। জাকির সিকদার এবং মো. রাশেদুল করিম ওরফে রাফাত আন্দোলনে আহত দুই ব্যক্তি, যারা তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের ধারণা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন। এছাড়াও, কোভিড-১৯ এর কারণে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে হাসপাতালগুলোতে অস্বাভাবিক চাপ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে আইসিইউ বেডের অভাব রয়েছে। খুলনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে এই চিকিৎসা সংকট পরিলক্ষিত হচ্ছে। চিকিৎসা অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার ফলে রোগীর মৃত্যু বা ক্ষতির ঘটনাও দুর্ভাগ্যবশত ঘটেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি রক্তের অভাবও দেখা দিয়েছে। আহত ব্যক্তিদের অনেকেরই চিকিৎসা ব্যয় বহন করার জন্য অর্থের অভাব রয়েছে। চিকিৎসা খাতে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ, যার ফলে সাধারণ মানুষের আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। ৪২তম বিসিএসের এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক নিয়োগবঞ্চিত হওয়ার ফলে দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
চিকিৎসা সংকট
আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:১৯ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সংকট
- সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বয়হীনতা
- বিনামূল্যে চিকিৎসার ঘোষণা সত্ত্বেও আর্থিক বোঝা
- বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সংকট
- কোভিড-১৯-এর কারণে হাসপাতালে চাপ বৃদ্ধি
- চিকিৎসা অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার ঘটনা
- চিকিৎসা ব্যয় বহন করার জন্য অর্থের অভাব
- ৪২তম বিসিএসের চিকিৎসক নিয়োগ সংকট
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।